প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

শিক্ষা হচ্ছে আত্মোপলব্ধির চাবিকাঠি তথা মনুষ্যত্ব বিকাশের মাধ্যম। আত্মবিকাশ ও আত্মোপলব্ধি জীবনের সব সমস্যার সমাধানের দিক দর্শন। তাই বলা হয় শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার মাধ্যমে জাতি সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করতে পারে। আজকের পৃথিবীতে যে জাতি শিক্ষা-দ্বীক্ষায় যত বেশী অগ্রসর সর্বক্ষেত্রে তারাই তত বেশী উন্নত। আর শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার কেন্দ্র হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশে দু’ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, একটি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেমন- স্কুল, কলেজ। অপরটি হচ্ছে ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেমন- মক্তব, মাদরাসা।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় আউলিয়ায়ে কেরাম যে জনপদে তাশরীফ নিয়েছেন সেখানে দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়ার জন্য মসজিদ নির্মাণ করেছেন। ইসলামের হুকুম-আহকাম, বিধি-বিধান শিক্ষার জন্য তারা মসজিদ সংলগ্ন মক্তব ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঠিক তেমনি ঐতিহ্যবাহী হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার মূলে ছিলেন একজন মহান ওলী। মাদ্রাসা তথা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে মানব জাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ মহৎ চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করতে পারে। এরই মাধ্যমে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবন সু-শৃঙ্খল, অনুপম ও সুন্দর রূপে পরিচালিত হয়।

আট আউলিয়ার পূণ্য স্মৃতি বিজড়িত অসংখ্য গুণিজনের পদভারে ধন্য অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি জগন্নাথপুর উপজেলার সবুজ শ্যামল হলিয়ারপাড়া গ্রামটি মেঘাখাল নদী ঘেরা নয়নাভিরাম শৈল্পিক সাজে সুসজ্জিত। যাটের দশকে বৃহত্তর মীরপুর এলাকায় পীরে কামিল হযরত মাওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনী (রহ.) এর পদচারনা ছিল। যিনি ‘ইটার সাব’ নামে সমধিক পরিচিত। এই সময়ে এলাকার অনেকেই তাঁর মুরিদ বা ভক্ত ছিলেন। তৎকালিন ছেলে মেয়েদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার প্রয়োজনে
পীরে কামিল হযরত মাওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনী (রহ.) এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে যাটের দশকের মাঝামাঝি হলিয়ারপাড়া মসজিদে মক্তব চালু করেন। তিনি এবং তাঁর ছোট ভাই হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ (রহ.) উক্ত মক্তবে পাঠদানে আত্মনিয়োগ করেন। এভাবে কেটে গেল কয়েক বছর।] হলিয়ারপাড়া নিবাসী মরহুম হাফিজ তাজ উদ্দিন সাহেবের দান করা ভূমিতে মক্তবের জন্য বিল্ডিং এর ভিত্তি স্থাপন করা হয়। ভিটা লেভেল পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের কাজ সম্পন্ন হলে আর্থিক কারণে বিল্ডিং এর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে প্রায় আট-দশ বছর বিল্ডিং এর কাজ বন্ধ থাকে। এক পর্যায়ে এসে মক্তবের পাঠদান কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সম্রাট, যামানার মুজাদ্দিদ শামছুল উলামা আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) নির্দেশে ভবিষ্যত বংশধরদের ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষা তথা আলোকিত পথের সন্ধানের লক্ষ্যে এলাকার শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক, দানশীল ও ধর্মপ্রাণ জ্ঞানপিপাসু সচেতন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ঐক্যমতের ভিত্তিতে (পূর্ব পশ্চিমের) ভিত্তি স্থাপনকৃত অসমাপ্ত বিল্ডিং এর কাজ সমাপ্ত করে ১২ এপ্রিল ১৯৭৮ সালে হালিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসার শুভ সূচনা হয়। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ পীরে কামিল হযরত মাওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনী (রহ.) স্মরণে মাদ্রাসাটির নামের সাথে কাদেরিয়া শব্দটি সংযোজন করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদরাসাটির সাথে শামছুল উলামা আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) এর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। মৃত্যু অবধি তিনি মাদ্রাসার বার্ষিক জলছা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্র শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে মাদরাসার উন্নয়ন অগ্রগতিতে উৎসাহ উদ্দীপনা দান করতেন। আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) এর অবর্তমানে তার সুযোগ্য ছাহেব জাদাগণের বিশেষ তদারকি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগসহ অন্যান্য জেলা থেকে ছাত্ররা গুণগত শিক্ষা অর্জনের জন্য হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসায় আসছে। বিদ্যুৎসাহী, শিক্ষাদরদী এলাকাবাসী (হলিয়ারপাড়া, মীরপুর, নজিপুর, আমড়াতৈল, নাছিরপুর, হাছান ফাতেমাপুর, আটঘর, শ্রীরামসি) ছাত্রদের লজিং দিয়ে সুষ্ঠ বিদ্যার্জনের পথ

পীরে কামিল হযরত মাওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনী (রহ.) এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে যাটের দশকের মাঝামাঝি হলিয়ারপাড়া মসজিদে মক্তব চালু করেন। তিনি এবং তাঁর ছোট ভাই হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ (রহ.) উক্ত মক্তবে পাঠদানে আত্মনিয়োগ করেন। এভাবে কেটে গেল কয়েক বছর।] হলিয়ারপাড়া নিবাসী মরহুম হাফিজ তাজ উদ্দিন সাহেবের দান করা ভূমিতে মক্তবের জন্য বিল্ডিং এর ভিত্তি স্থাপন করা হয়। ভিটা লেভেল পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের কাজ সম্পন্ন হলে আর্থিক কারণে বিল্ডিং এর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে প্রায় আট-দশ বছর বিল্ডিং এর কাজ বন্ধ থাকে। এক পর্যায়ে এসে মক্তবের পাঠদান কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সম্রাট, যামানার মুজাদ্দিদ শামছুল উলামা আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) নির্দেশে ভবিষ্যত বংশধরদের ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষা তথা আলোকিত পথের সন্ধানের লক্ষ্যে এলাকার শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক, দানশীল ও ধর্মপ্রাণ জ্ঞানপিপাসু সচেতন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ঐক্যমতের ভিত্তিতে (পূর্ব পশ্চিমের) ভিত্তি স্থাপনকৃত অসমাপ্ত বিল্ডিং এর কাজ সমাপ্ত করে ১২ এপ্রিল ১৯৭৮ সালে হালিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসার শুভ সূচনা হয়। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ পীরে কামিল হযরত মাওলানা আব্দুল কাদির সিংকাপনী (রহ.) স্মরণে মাদ্রাসাটির নামের সাথে কাদেরিয়া শব্দটি সংযোজন করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদরাসাটির সাথে শামছুল উলামা আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) এর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। মৃত্যু অবধি তিনি মাদ্রাসার বার্ষিক জলছা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্র শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে মাদরাসার উন্নয়ন অগ্রগতিতে উৎসাহ উদ্দীপনা দান করতেন। আল্লামা ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (রহ.) এর অবর্তমানে তার সুযোগ্য ছাহেব জাদাগণের বিশেষ তদারকি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগসহ অন্যান্য জেলা থেকে ছাত্ররা গুণগত শিক্ষা অর্জনের জন্য হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসায় আসছে। বিদ্যুৎসাহী, শিক্ষাদরদী এলাকাবাসী (হলিয়ারপাড়া, মীরপুর, নজিপুর, আমড়াতৈল, নাছিরপুর, হাছান ফাতেমাপুর, আটঘর, শ্রীরামসি) ছাত্রদের লজিং দিয়ে সুষ্ঠ বিদ্যার্জনের পথ

সুগম করে দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করেন মরহুম হযরত মাওলানা ঈমাদ উদ্দিন ভুট্টো (রহ.)।

মাদরাসার ভূমিদাতাগণ হচ্ছেন: মরহুম আলহাজ্ব হাফিজ তাজ উদ্দিন হালয়ার পাড়া মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল বারী নজিপুর, নয়াবাড়ি, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মীরপুর ইউনিয়ন মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াছি মীরপুর, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মীরপুর ইউনিয়ন মরহুম আলহাজ্ব মনোফর আলী হলিয়ারপাড়া ,মরহুম আলহাজ্ব ওয়ারিশ উল্লাহ হলিয়ারপাড়া, মরহুম আলহাজ্ব সিকন্দর আলী হলিয়ার পাড়া, মরহুম আব্দুল মালিক মীরপুর, মরহুম সদর আলী আমড়াতৈল মরহুম মুসলিম মিয়া হলিয়ারপাড়া, মরহুম তোরাব আলী হলিয়ারপাড়া, মরহুমা নসিরা বিবি বরণী, দশঘর জনাব মো. আব্দুন নুর হলিয়ারপাড়া, জনাব মো. আব্দুল খালিক হলিয়ারপাড়া, জনাব শাহ মো. আবুল হুসেন। ,হলিয়ারপাড়া ,জনাব শাহ মো. আনোয়ার হুসেন হলিয়ারপাড়া

8. আলহাজ্ব বারিক মিয়া

৫.

মরহুম উমদা মিয়া

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

আলহাজ্ব মৌরীছ মিয়া ও

মরহুম উমদা মিয়া

জনাব গৌরীছ মিয়া

৬. শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও

শাহ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন

মরহুম আলহাজ্ব হাফিজ তাজ উদ্দিন

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

৭. জনাব মশাহিদ আলী

জনাব মশুদ আলী জনাব আব্দুশ শহীদ

মরহুম আলহাজ্ব ওয়ারিশ উল্লাহ

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

৮. আলহাজ্ব নুর আলী

আলহাজ্ব রুছমত উল্লাহ

৯ আলহাজ্ব সিকন্দর আলী ও আলহাজ্ব আমিরুন্নেছা

মরহুম আলহাজ্ব মোবারক আলী

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

১০. আলহাজ্ব আফছর আলী ও আলহাজ্ব আফিয়া বেগম

মরহুম আলহাজ্ব জবান উল্লাহ

১১. আলহাজ্ব ছালেমা বেগম।

আলহাজ্ব আব্দুল হক

১২. আলহাজ্ব কুদ্দুছ আলী

১৩. আলহাজ্ব ডানাওর আলী

১৪. আলহাজ্ব আছকির মিয়া ও জনাবা ছুফিয়া বেগম।

১৫. জনাব বজলুর রশীদ

মীরপুর, জগন্নাথপুর

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

আলহাজ্ব আকবর আলী

মরহুম হারিছ আলী

মীরপুর (সারংবাড়ী)

আলহাজ্ব ওয়ারিশ উল্লাহ

মরহুম আফিজ উল্লাহ

মরহুম শরফ উদ্দিন

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

জনাবা ছুফিয়া বেগম

১৫. জনাব বজলুর রশীদ

১৬. আলহাজ্ব সমুজ আলী ও জনাব আজিজুর রহমান

১৭. আলহাজ্ব শরীফা বিবি

আলহাজ্ব ওয়ারিশ উল্লাহ

মরহুম আফিজ উল্লাহ

মরহুম শরফ উদ্দিন

মরহুম রশিদ উল্লাহ

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

রতিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

স্বামী মরহুম ওয়ারিদ উল্লাহ

১৮ . আলহাজ্ব সিকন্দর আলী ও আলহাজ্ব আমিরুন্নেছা

আলহাজ্ব মোবারক আলী

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

নতুন বহুতল একাডেমিক ভবনের অন্যান্য দাতাগণ হচ্ছেন-

ক্র.নং দাতার নাম

০১. আলহাজ্ব আফতাব আলী (আলফু মিয়া)

জনাব শফর উদ্দিন

পিতা/স্বামীর নাম

ঠিকানা

০২. আলহাজ্ব বশির মিয়া

০৩. আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন

০৪. আলহাজ্ব লয়লুছ মিয়া

০৫. আলহাজ্ব খালিছুর রহমান

আলহাজ্ব রইছ উদ্দিন

আলহাজ্ব আহমদ আলী

জনাব ওয়াদ উল্লাহ

জনাব আখলাছ মিয়া

জনাব আব্দুল আহাদ

আলহাজ্ব জহির উল্লাহ

আলহাজ্ব ওয়ারিশ আলী

মরহুম আলহাজ্ব কদরিছ মিয়া

০৬. জনাবা হাফছা বেগম

৩৭. জনাব নূর মিয়া

০৮. জনাব তেরাব আলী

০৯. জনাব আনোয়ার মিয়া

১০. আলহাজ্ব সফর আলী

১১. জনাব জমসেদ আলী

১২. মুদী ট্রাস্ট এর পক্ষে জনাব মাও। কমর উদ্দিন

জনাব মফিজ উদ্দিন মুন্সী

১৩ আলহাজ্ব আব্দুছ ছত্তার

জনাব মনু মিয়া

জনাব হায়াত উল্লাহ

মরহুম ছমেদ উল্লাহ

জনাব কলমদর আলী

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

প্রভাকরপুর, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর ।

তুন বহুতল একাডেমিক ভবনের অন্যান্য দাতাগণ হচ্ছেন-

ক্র.নং দাতার নাম

পিতা/স্বামীর নাম

০১. আলহাজ্ব আফতাব আলী (আলফু মিয়া) জনাব শফর উদ্দিন

০২. আলহাজ্ব বশির মিয়া আলহাজ্ব রইছ উদ্দিন মীরপুর, জগন্নাথপুর হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

০৩. আলহাজ্ব ছমির উদ্দিন

০৪. আলহাজ্ব লয়লুছ মিয়া

০৫. আলহাজ্ব খালিছুর রহমান।

০৬. জনাবা হাফছা বেগম

০৭. জনাব নূর মিয়া

০৮. জনাব তেরাব আলী

০৯. জনাব আনোয়ার মিয়া

১০. আলহাজ্ব সফর আলী

১১. জনাব জমসেদ আলী

১২. মুদী ট্রাস্ট এর পক্ষে জনাব মাওঃ কমর উদ্দিন

১৩. আলহাজ্ব আব্দুছ ছত্তার

১৪. জনাব সামসুল ইসলাম

১৫. জনাব আলী আশরাফ

আলহাজ্ব আহমদ আলী

জনাব ওয়াদ উল্লাহ

জনাব আখলাছ মিয়া।

জনাব আব্দুল আহাদ।

আলহাজ্ব জহির উল্লাহ।

আলহাজ্ব ওয়ারিশ আলী

মরহুম আলহাজ্ব কদরিছ মিয়া

জনাব হায়াত উল্লাহ

মরহুম ছমেদ উল্লাহ

জনাব মফিজ উদ্দিন মুন্সী

জনাব মনু মিয়া

জনাব কলমদর আলী

জনাব আলহাজ্ব তাহির আলী

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

প্রভাকরপুর, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

নজিপুর (নয়াবাড়ী), জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

হলিয়ারপাড়া, জগন্নাথপুর

মীরপুর, জগন্নাথপুর

সমাজ সেবক লন্ডন প্রবাসী জনাব আলহাজ্ব আছকির মিয়া। তাছাড়া মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ চালু রয়েছে। মাদ্রাসায় শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সহশ্রাধিক কিতাবাদি সম্বলিত একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার রয়েছে।

লেখা-পড়ার পাশাপাশি মাদ্রাসায় সহপাঠ্যক্রম চালু আছে। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার ছাত্র সংসদের উদ্যোগে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পৃথকভাবে কেরাত, হামদ, নাত, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। তাছাড়া খেলা-ধুলার ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এ কারণে উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে যে কোন সাংস্কৃতিক ও খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় হলিয়ারপাড়া মাদ্‌রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে সক্ষম হচ্ছে। প্রতি বছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মাদ্রাসা ছাত্র সংসদের উদ্যোগে জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলার মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে তিনটি গ্রুপে কেরাত, হামদ, নাত ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও ‘আল মাজিদ’ নামক একটি দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের সম্পূর্ণ ব্যয় ভার বহন করেন হলিয়ারপাড়া নিবাসী মরহুম তবরিছ আলী সাহেবের মেয়ে লন্ডন প্রবাসী মনোয়ারা বেগম। তাছাড়া প্রবাসী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উক্ত অনুষ্ঠানে প্রদানকৃত অনুদান স্মরণযোগ্য।

মাদরাসায় এতিম, অসহায়, দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার ব্যয় ভার সংকুলানের জন্য একটি “দরিদ্র ফান্ড” বয়েছে। এলাকার বিত্তবান ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগিতায় “দরিদ্র ফান্ডটি পরিচালিত হচ্ছে। জগন্নাথপুর উপজেলার হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসাটি একমাত্র অবৈনিক প্রতিষ্ঠান যেখানে পরীক্ষা বাতিত ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে বেতন বা কোন প্রকার অর্থ গ্রহন করা হয়না। বরং পাবলিক

আপ্যায়নের সম্পূর্ণ ব্যয় ভার বহন করেন হলিয়ারপাড়া নিবাসা মরহুম তবারছ আলা সাহেবের নেয়ে গতগ প্রবাসী মনোয়ারা বেগম। তাছাড়া প্রবাসী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উক্ত অনুষ্ঠানে প্রদানকৃত অনুদান স্মরণযোগ্য।

মাদ্রাসায় এতিম, অসহায়, দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার ব্যয় ভার সংকুলানের জন্য একটি “দরিদ্র ফান্ড” রয়েছে। এলাকার বিত্তবান ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগিতায় “দরিদ্র ফান্ড”টি পরিচালিত হচ্ছে। জগন্নাথপুর উপজেলার হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসাটি একমাত্র অবৈনিক প্রতিষ্ঠান যেখানে পরীক্ষা ব্যতিত ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে বেতন বা কোন প্রকার অর্থ গ্রহন করা হয়না। বরং পাবলিক পরীক্ষার্থী দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা ফি মাদ্রাসার “দরিদ্র ফান্ড” থেকে প্রদান করা হয়। তাছাড়া এতিম, দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদেরকে ক্লাসের কিতাবাদী, মাদ্রাসার ড্রেস, ছাতা ও চিকিৎসা ব্যয়ভার “দরিদ্র ফান্ড” থেকে সংকুলান করা হয়। যামানার মুজাদ্দিদ আল্লামা ছাহেব কিবলা ফুলতলী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত দারুল কেরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাষ্ট হচ্ছে একটি কোরআনিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশুদ্ধ কোরআন পঠন ও পাঠনের অদ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান এটি। এ ট্রাষ্টের অধীনে হলিয়ার পাড়া মাদরাসায় ১৯৮২ সাল থেকে দারুল কেরাতের কেন্দ্র জমাতে আউয়াল থেকে রাবে পর্যন্ত এবং ১৯৯৮ সাল থেকে জমাতে খামিছ পর্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। এলাকার লন্ডন প্রবাসীগণের আর্থিক অনুদানে দারুল কেরাতের একটি সমৃদ্ধ নিজস্ব ফান্ড রয়েছে। প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী এ কেন্দ্র থেকে বিশুদ্ধ কোরআনের শিক্ষা অর্জন করছে।

পরিশেষে প্রথম দিন থেকে যারা হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার পেছনে মেধা, শ্রম এবং অর্থ প্রদান করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁদের সকলের রুহের মাগফেরাত ও জান্নাত লাভের কামনা করি। বর্তমান সময়ে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সে সমস্ত সুহৃদ ব্যক্তিবর্গ মাদরাসার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তাদের দীর্ঘ হায়াত, সুস্বাস্থ্য ও মাদ্রাসাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সামর্থ দান করেন। এই রৌদ্র ছায়াময় পৃথিবীতে কালের সাক্ষী, আলোকিত সৎ চরিত্রবান মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান হিসাবে চির অম্লান হয়ে থাকবে হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসা এই প্রত্যাশা করি।